উপজেলা ভোট কাল : সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট

এলাকা: ডেস্ক

জাহাঙ্গীর আলম

ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চারিদিকে এখন উৎসবের আমেজ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের দিকে হাটছে উপজেলাবাসী। কে হবেন উপজেলার অভিভাবক তা নির্ধারণ করবে ২ লাখ ৭৩ হাজার ১১৪ ভোটার। রাত পোহালে আগামীকাল রোববার ভোট খুলনা জেলা সর্ববৃহৎ উপজেলা ডুমুরিয়ায়।
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৩ হাজার ১১৪জন। কেন্দ্র ১০৮টি। বুথের সংখ্যা ৭৪২। তবে নির্বাচন ঘিরে এখনও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা শোনা যায়নি। ইতোমধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল আমিন।

তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসব মুখর নির্বাচনে বদ্ধ পরিকর নির্বাচন কমিশন ও ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসন। সারা দেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ডুমুরিয়ায় সকল কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে উপজেলা প্রশাসন ইতিপূর্বে মাঠে অনেক কাজ করেছে, এখনও করছে এবং ভোটের মাঠে স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে আজ শনিবার সকাল ৮ টায় প্রচারণা শেষ। তাই শেষ মুহূর্তে প্রত্যেক প্রার্থী সকল প্রকার প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় ভোটের হিসেবে নিকেশ লন্ড-ভন্ড হয়ে গেছে। অনেক প্রার্থীর কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। অনেকে সুবিধাজনক অবস্থা ফিরে পাওয়ায় মুচকি হাসছেন।
অধিকাংশের মতে গেল ২৯ নভেম্বর নির্বাচন হলে সবচেয়ে সুবিধায় ছিলেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী এড. মুনিমুর রহমান নয়ন। তবে পিছিয়ে যাওয়ার সুবিধা কাজে লাগাচ্ছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী গাজী এজাজ আহমেদ ও মটর সাইকেলের প্রার্থী আজগর বিশ্বাস তারা।
বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও সিংহভাগ নেতা-কর্মী নয়নের পক্ষে কাজ করছিলেন। তবে গত বুধবার যুবদল নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ, মিছিল এবং পথসভা করায় অনেক বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থক বেকায়দায় পড়েছেন। শেষ মুহূর্তে অনেকে কঠোর অবস্থান থেকে ফিরে এসেছেন। ফলে ভোটের মাঠে আনারস প্রতীকের ওপর এর প্রভাব পড়ছে বলে কেউ কেউ মত দিচ্ছেন। তবে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও তার অভিভাবকরা এসবকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। তাদের মতে নির্বাচন ফিছিয়ে যেয়ে তারা আরও বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।
অন্যদিকে নির্বাচনে পেছানোর কারণে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে মাঠে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগসহ ছুটিতে আসা বিভিন্ন এলাকার চাকুরিজীবিরা।
এদিকে রংপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আজগর বিশ্বাস তারার মটর সাইকেলের অবস্থাও বেশ ভাল। ইতোমধ্যে গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকে নানা শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ ভোটারদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।
এদিকে নির্বাচনে শুরুতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শারমিনা পারভীন রুমার কলস প্রতীক বেশ শক্ত অবস্থানে ছিল। কিন্তু নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় শিলা মন্ডলের ফুটবল প্রতীকের অবস্থা বেশ জোরালো হয়েছে। এবারের নির্বাচনে কলস প্রতীকের প্রার্থীর বাবা, কাকা, আম্মাসহ পরিবারের সকল সদস্যকে ভোটের মাঠে দেখা যাচ্ছে। ইতোপূর্বে ডুমুরিয়ার মানুষ এমনটি কখনও দেখেনি। তবে ছোট চাচা শাহাজান জমাদ্দার তার শ্যালক নয়নের পক্ষে কাজ করায় কলসের ওপর এর প্রভাব পড়ছে। ফলে কলস ও ফুটবল প্রতীকের মধ্যে বেশ লড়াই হবে বলে অনেকের ধারণা।
অপরদিকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ৪ প্রার্থীর মধ্যে ভোট পিছিয়ে যাওয়ায় গাজী আব্দুল হালিমের টিয়া পাখি এবং প্রভাষক গোবিন্দ ঘোষের তালা প্রতীকের সাথে লড়াই বেশ জমে উঠেছে। সমান তালে গণসংযোগে রয়েছেন শেখ শাহীনুর রহমান শাহীনের চশমা ও অভিজিৎ রায় অভির টিউবওয়েল প্রতীক। সব মিলিয়ে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের দিকে হাঁটছে ডুমুরিয়ার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর দেখুন
প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এলাকা: ডেস্ক

ডেমরা প্রেসক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ইয়েস সমতট টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ডেমরা প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে প্রায় ৩ শতাধিক দুস্তদের সম্মানে আসন্ন ঈদুল ফিতর উৎযাপন উপলক্ষে ঈদ উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজধানীর ঐতিহ্যবাহি ও সুনামধন্য ডেমরা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম চৌধুরী। সভা সঞ্চালনা করেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের মহাসচিব ও দোয়েল টিভির বাংলাদেশ কান্ট্রি সিও মোঃ শামছুল আলম। সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফল সংগঠক অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার প্রকাশক ও সম্পাদক অশোক ধর, মানবতাবাদী প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ, ডেমরা থানা বি.এন.পি সমন্বয়ক কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব ডেমরা মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা সেলিম রেজা চৌধুরী (সেলিম) ও আনিসুজ্জামান( জামান)। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ঐশ্বী বাংলা পত্রিকার সহকারী সম্পাদক সরওয়ার আরিফ, জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি যুবদল নেতা আজিজুল হক আজিজ, ৬৬ নং ওয়ার্ড বি.এন.পি সভাপতি নূর হোসেন ভুঁইয়া। সম্পাদক অশোক ধর ও আনোয়ার হোসেন আকাশ তাদের বক্তব্যে সিয়াম সাধনের তাত্পর্য বর্ননা পূর্বক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সত্য সংবাদ চর্চা করার অনুরোধ করেন। জেল জুলুমের শিকার জননেতা সেলিম রেজা চৌধুরী (সেলিম) ও আনিসুজ্জামান (জামান)তাদের বক্তব্যে বি.এন.পির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ঘোশিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের আলোকে সাংবাদিকদেরকে লেখা লেখির জন্য অনুরোধ করেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান কবিতা ইসলাম ও পরিচালক তদন্ত রুমেল সরকার, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিমল সরকার, এ.আর হানিফ, হোসেন মিয়া, শরিফ আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজিব হোসেন রাজু,ক্রিড়া সম্পাদক আজাদ হোসেন ও সাংবাদিক আজম ইকবাল।

ডেমরা প্রেসক্লাব কর্তৃক আয়োজিত দুস্তদের সম্মানে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট

এলাকা: ডেস্ক

বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য কিডনি মানব দেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের শরীরে বিপাকের মাধ্যমে যে ময়লা ও দূষিত পদার্থ তৈরি হয় তা কিডনির মাধ্যমে প্রসাবের সাহায্যে বের হয়ে যায়। কিডনিকে সুস্থ সবল রাখা এবং কিডনি রোগীদের জন্য সাহায্য ও সমর্থনের আশীর্বাদ নিয়ে ২০০৬

সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ নেফ্রলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর কিডনি ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে সারা পৃথিবীব্যাপী মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার কিডনি দিবস পালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কিডনির রোগ দ্রুত শনাক্তকরণ ও কিডনি রোগ প্রতিরোধের বার্তা নিয়ে আগামীকাল ১৩ ই মার্চ বৃহস্পতিবার সারা বাংলাদেশ ব্যাপি বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, আপনার কিডনি কি সুস্থ? দ্রুত পরীক্ষা করুন, কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষা
করুন।

বাংলাদেশে বর্তমানে কিডনি রোগীর সংখ্যাঃ
২০১৯ সালে প্রকাশিত আটটি স্টাডির সিস্টেমিক রিভিউ অনুযায়ী আমাদের দেশে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২২.৪৮%। এর ভেতরে মহিলাদের প্রাধান্য বেশি প্রায় ২৫ শতাংশ এবং পুরুষ
২০%। ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে এই তথ্য অনুযায়ী কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় তিন কোটি ৮২ লক্ষ এবং দ্রুত হারে এ সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী গত ১ দশকে কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই মহামারিতে প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার রোগীর কিডনি বিকল হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার যে ক্ষমতা, সে অনুযায়ী আমরা এই নতুন রোগীদের ১৫ থেকে ২০% রোগীকে ট্রান্সপ্লান্ট ডায়ালাইসিস এবং অন্যান্য চিকিৎসা দিতে পারছি। তার মানে প্রায় ৮০ শতাংশ রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে অথবা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছে। শুধু যে বাংলাদেশে এই কিডনি রোগের সংখ্যা বাড়ছে তা নয়। সারা পৃথিবীব্যাপী বর্তমানে ৮৫ কোটির বেশি মানুষ ভুগছে। দুই যুগ আগে মানুষ মৃত্যুর কারণ হিসেবে কিডনি রোগ ছিল ২৭তম স্থানে। বর্তমানে
এটির স্থান অষ্টম এবং ২০৪০ সালে কিডনি রোগ মৃত্যুর কারণ হিসেবে পঞ্চম স্থান দখল করবে। কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাঃ কিডনি এর কার্যক্ষমতার উপর ভিত্তি করে কিডনি রোগকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়:
CKD Stage 1, 2, 3, 4, 5 এর মধ্যে stage 1-3 কিডনি রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও ওষুধ।
Stage 4-5 এর চিকিৎসা পদ্ধতি।

বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন