লক্ষ্মীপুরে পিতার হাতে কন্যা খুন

প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: স্টাফ রিপোর্টার

এলাকা: লক্ষ্মীপুর

সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ আন্ধারমানিক গ্রামে এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে স্থানীয়রা ঘাতক ফারুককে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

ফারুক দক্ষিণ আন্ধারমানিক গ্রামের কাদের মাঝির ছেলে। তিনি পেশায় রিকশাচালক ও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন।

স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, মাদক সেবন নিয়ে পরিবারের সঙ্গে প্রায়ই তার ঝগড়া-বিবাদ হতো। এর জেরে সকালে তার স্ত্রী কুসুম আক্তার বড় মেয়ে ফারিহা সুলতানাকে দাদা-দাদীর কাছে রেখে তিন বছরের আরেক শিশু কন্যা ফাইজাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী কুশাখালী ইউনিয়নের নুর খাঁ গ্রামে বাবার বাড়িতে যান।

বিকেলে পরিবারের সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত ফারুক দা দিয়ে ফারিহার গলা কেটে তাকে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত ফারিহা সুলতানার মা কুসুম আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বাবার বাড়িতে যাওয়া সময় ফারিহাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার দাদা-দাদি তাকে আমার সঙ্গে যেতে দেয়নি। তাকে যেতে দিলে আজ মেয়েটাকে মরতে হত না।’ এই কথা বলেই কান্নায় মূর্ছা যান তিনি।

তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য লুৎফুর রহমান বলেন, ‘শিশুটিকে হত্যার পর ফারুক ঘরের ভেতর দা হাতে অবস্থান করছিল। এসময় সে সবাইকে ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে স্থানীয় জনতা ঘাতক ফারুককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।’

লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। ঘাতক ফারুককে আটক করা হয়েছে। সে মাদকাসক্ত, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর দেখুন